মনির খান,বিশেষ প্রতিনিধি: 
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখ দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের সময় লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন নার্স ডিউটিরত ছিলেন,আর তাহারা হলেন নার্স রেহানা পারভীন, নার্স রিপা বিশ্বাস ও নার্স স্বপ্না লস্কর।এর মধ্যে রিপা বিশ্বাস ও স্বপ্না লস্কর ২ জন ডিউটি চলাকালীন সময় কম্পিউটার রুমের ওয়াশরুমে মহানন্দে ভ্রু ফ্লাগ নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত ছিলেন, ইতি মধ্যে সিনিয়র নার্স রেহানা পারভীন ওয়ার্ডের রুগীদের সেবাদানের পর হাত ধৌত করার জন্য ওয়াশরুমে যাওয়ার সময় নার্স রিপা বিশ্বাসের হাতে থাকা ধারালো সার্জিক্যাল ব্লেডের পোচে নার্স রেহানা পারভীন এর ডান হাতের কব্জির উপরে ২ ইঞ্চির মতো কেটে যায়,এবং ওখানে ৫ টি সেলাই দেওয়া হয়।

তাকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছব্দ নামে ভর্তি করা হয়, এবং সে নামটি হল লাভলী।যাহাতে মানুষ বুঝতে না পারে, তাকে সাধারণ রোগীদের মত ছদ্ম নামে ভর্তি করে আত্ম গোপনে একটি কোয়ার্টারে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএসও শরীফ সাহাবুর রহমান অসুস্থ নার্স রেহানা পারভীন ,নার্স স্বপ্না লস্কর,ও নার্স রিপা বিশ্বাস সহ আরো অনেকের উপস্থিতিতে মিষ্টি মুখ করিয়ে মিমাংসা করার চেষ্টা করেন,এ যেনো বিবাহ অনুষ্ঠান বা জন্ম দিন অনুষ্ঠান পালিত হল বলে মন্তব্য ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন আহত নার্স এর বড় ভাই জিল্লুর রহমান।জিল্লুর রহমান আরো বলেন টি এস ও সাহেব আমার বোনের বিচার কি মিষ্টি মুখ করিয়ে শেষ করলেন? এ কেমন বিচার । উক্ত বিষয় টি, টিএসও শরীফ সাহাবুর রহমান সত্যতা স্বীকার করে বলেন যে নার্স রিপা বিশ্বাস ও নার্স স্বপ্না লস্কর ডিউটি টাইমে ভ্রু ফ্লাগ করেছিল সত্য। তবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে অসতর্কতার কারনে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল, টি এস ও সাহেবের মিষ্টিমুখ করিয়ে বিচার কার্য সম্পন্ন করানো কে ধিক্কার জানান আহত নার্সের বড় ভাই জিল্লুর রহমান। জিল্লুর রহমান আরো বলেন আমার বোনের হাত কেটে দেওয়া হল,৫টি সেলাই দেয়া হলো তারপর সে ভীষণ অসুস্থ, ও খানে টিএসও শরীফ সাহাবুর রহমান সাহেব কেমন বিচার করলেন?এই বিচারে খুশি হয়ে ভ্রু ফ্লাগ নার্স রিপা বিশ্বাস ও ভ্রু ফ্লাগ নার্স স্বপ্না লস্কর উল্লাসে মেতে ওঠে বলে জানান আহতের বড় ভাই জিল্লুর রহমান।
○ তবে সিনিয়র নার্স রেহেনা পারভীন এর বড় ভাই জিল্লুর রহমান ঘটনার সত্যতা তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি জানান।